রিপোর্টার্স বিডি ডট কম : ক্রমেই ঘনিয়ে আসছে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর। বাড়ছে নগরীর ব্যস্ততা। জমে ওঠতে শুরু করেছে ঈদের বেচাকেনা। এই সুযোগে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে অপরাধীরা। তবে ঈদকেন্দ্রীক যেকোনো ধরনের অপরাধ ঠেকাতে মাঠে নামছে সিলেট মহানগর পুলিশ। এ লক্ষে নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। ঈদকেন্দ্রীক অপরাধীদের ধরতে বিশেষ পরিকল্পনাও করেছে এসএমপি। এদিকে নগরীতে বিপণীবিতানগুলোতে ইভটিজিং, বখাটেপনা ঠেকানে ছদ্মবেশধারী নারী পুলিশ মাঠে নামিয়েছে এসএমপি। সিলেট মহানগর পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, ঈদ উপলক্ষে কোনো অপরাধী চক্র যাতে নগরীতে বিচরণ করতে না পারে, মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা যাতে বজায় থাকে, এজন্য পুলিশ প্রশাসন সতর্ক রয়েছে। নেয়া হয়েছে বিশেষ পরিকল্পনা। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মহানগরী জুড়ে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ শুরু করে দিয়েছে পুলিশ। নগরীতে নিরাপত্তায় কাজ করছেন দুই সহস্রাধিক পুলিশ সদস্য। রয়েছে স্ট্রাইকিং ফোর্সও। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ঈদকে কেন্দ্র করে সিলেট মহানগরীতে এসএমপি’র ৮০ ভাগ জনবলকে নিরাপত্তার কাজে লাগানো হচ্ছে। এছাড়া পুলিশের উৎসব ছুটিও বাতিল করা হয়েছে। পুরো নগরীর প্রত্যেক মোড়ে মোড়ে দায়িত্ব পালন করছেন পুলিশ সদস্যরা। নগরীর ব্যাংক, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বিপণীবিতানগুলোতে নিরাপত্তার জন্য নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। বিশেষ করে ব্যাংক ও বিপণীবিতানগুলোতে কড়া নজর রাখছে এসএমপি। পুলিশের নিয়মিত বাহিনীর সদস্যদের সাথে নগরীজুড়ে সাদা পোশাকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য কাজ করছেন বলেও জানা গেছে। এদিকে সূত্র জানায়, ঈদকে সামনে রেখে মানুষ যেন নির্বিঘেœ কেনাকাটা করতে পারে ও রাস্তাঘাটে চলাফেরা করতে পারে, সেজন্য ব্যাপক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নগরীর মার্কেট, গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ছাড়াও রাস্তার মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। সিসি ক্যামেরা ছাড়াও পুলিশ প্রহরা থাকছে ব্যাংক ও ব্যাংকের বুথগুলোর সামনে। এসবের নিয়ন্ত্রণকক্ষ সরাসরি সিলেট মহানগর পুলিশ (এসএমপি) সদর দফতরে থাকবে। এছাড়াও নগরীতে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। এদিকে ঈদের কেনাকাটায় নগরীর বিভিন্ন শপিংমলে ইভটিজিং আর বখাটেপনা ঠেকাতে বিশেষ কৌশল নিয়েছে এসএমপি। এ জন্য নগরীতে সাদা পোশাকে নারী পুলিশ সদস্যদেরকে নামানো হয়েছে। এরা নগরীর বিভিন্ন শপিংমল, বিপণীবিতানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। এই নারী সদস্যদের ব্যাকআপ দেয়ার জন্য সাদা পোশাকে পুরুষ সদস্যরাও কাজ করবেন বলে জানা গেছে। ইভটিজিংয়ের অভিযোগে কেউ আটক হলে তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে নয়, নারী ও শিশু নির্যাতনের প্রচলিত আইনে মামলার আসামি করে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। এদিকে ঈদ উপলক্ষে সবধরনের অপরাধ ঠেকাতে সিলেট মহানগরজুড়ে র্যাব-৯ এর বিশেষ টিম নিয়মিতভাবে টহল দেবে। নগরীতে ৫০ জন র্যাব সদস্য এই টহল কাজে নিয়োজিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন র্যাব-৯ এর সহকারি পরিচালক মাঈন উদ্দিন চৌধুরী। এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, ঈদকেন্দ্রীক নিরাপত্তায় এসএমপি ইতোমধ্যেই নিজেদের পরিকল্পনা মোতাবেক কাজ শুরু করে দিয়েছে। ঈদকে কেন্দ্র করে নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। নামানো হয়েছে দুই সহস্রাধিক পুলিশ সদস্য। ইভটিজিং-বখাটেপনা ঠেকাতে নামানো হয়েছে সাদা পোশাকধারী নারী পুলিশ। এছাড়া থাকছে স্ট্রাইকিং ফোর্স, মোটরসাইকেল ফোর্স, ব্যাকআপ পার্টিও। সবমিলিয়ে নগরীজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিতে এসএমপি তৎপর।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন Blogger Facebook