সদর মডেল থানার এসআই সাইফুল ইসলাম জানান, শনিবার সকালে সদরের ডিগ্রির চর এলাকায় এঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ সবার বিস্তারিত পরিচয় ও ঠিকানা জানাতে পারেনি পুলিশ।
এদের মধ্যে রয়েছেন সিদ্ধিরগঞ্জের সেলিম (৫০), তার ছেলে ইমন (১২) ও মেয়ে মৌসুমী (১৫) এবং ফতুল্লা নরসিংপুরের আব্দুল কাদের (৫০) ও সেলিম খান (৪০)।
এসআই সাইফুল বলেন, “অন্তত ৩০ যাত্রী নিয়ে ইঞ্জিনচালিত নৌকাটি বুড়িগঙ্গার পূর্বপাড় থেকে পশ্চিমপাড়ে যাচ্ছিল। মাঝপথে লঞ্চের ধাক্কা খেয়ে নৌকাটি ডুবে যায়।
“অন্য যাত্রীরা সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও ওই পাঁচজন এখনো নিখোঁজ রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।”
ওই নৌকায় থাকা নিখোঁজ সেলিমের স্ত্রী লুৎফা বেগম বলেন, তারা বক্তাবলীর রাধানগরে লেংটা বাবার মাজারে ওরস শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। ভোর পৌনে ৬টার দিকে ঘন কুয়াশার মধ্যে তাদেরসহ ৪০-৫০ জন যাত্রী নিয়ে রাধানগর ঘাট থেকে নৌকা ছাড়ে। পথে বরিশাল থেকে ঢাকাগামী একটি লঞ্চ নৌকাটিকে ধাক্কা দেয়। তিনি সাঁতরে কূলে উঠতে পারলেও স্বামী-সন্তানদের খোঁজ পাচ্ছেন না।
তার স্বামী সেলিম ও মেয়ে মৌসুমী ওরসে গান গাইতো বলে জানান লুতফা।
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী যাত্রী বন্দরের শাহী মসজিদ এলাকার সেলিম বলেন, তারা অনেকে এক সঙ্গে মাজারে ওরসে অংশ নিতে আসেন। তিনিও সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হন।
তবে ঘটনার অনেক পরে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার অভিযান শুরু হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
নারায়ণঞ্জ উপ-সহকারী পরিচালক দিনমনি বলেন, সাড়ে ১০টা থেকে চারজন ডুবুরি বুড়িগঙ্গার ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছেন। এখনো নৌকা বা যাত্রীদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন Blogger Facebook