নিউজ ডেস্ক::
চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার থেকে প্রায় ২৫ হাজার লোক পাচারকারীদের নৌকায় চড়ে বঙ্গোপসাগরের উপকূল দিয়ে অন্য দেশে পাড়ি জমিয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনের (ইউএনএইচসিআর) দেয়া তথ্য মতে চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে পাচার হওয়া অভিবাসীদের সংখ্যা গত বছরের এই সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ।
যুক্তরাজ্য ভিত্তিক প্রভাবশালী অনলাইন পত্রিকা ‘দ্যা হাফিংটন পোস্ট’ এ গত ৩০ জুন প্রকাশিত ‘We Need to Talk about Bangladesh’ নামক প্রবন্ধে এসব বিষয় উঠে আসে।
প্রবন্ধে ক্রিস লিউয়া নামের একজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, যিনি একজন শরনার্থীদের ত্রাণকর্মী। তিনি মানবপাচারের মতো আন্তর্জাতিক সঙ্কটের বিষয়ে নানা তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। সেই ক্রিস লিউয়া বলছেন,
‘পাচার হওয়া অীভবাসীদের মধ্যে অর্ধেক সংখ্যকই বাংলাদেশের নাগরিক।’
অভিবাসীদের জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থা আইওএম-এর হিসেব মতে, গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত পাচার হওয়াদের মধ্যে কমপক্ষে ১ হাজার জনের মৃত্যু হয়েছে।
পাচারকারীদের নৌকায় করে সাগরপথে অবৈধভাবে অন্যদেশে পাড়ি জমানোর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারকে আরও কঠোর অবস্থান নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছে সহায়তা প্রদানকারী দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থাগুলো।
মানব পাচার ঠেকাতে প্রয়োজনীয় আইন প্রয়োগের সীমাবদ্ধতা, আইনি জটিলতা এবং সরকারি কর্মকর্তাদের অবাধ দুর্নীতি মানব পাচারকে বেশি করে উৎসাহিত করছে বলে মনে করছে বিভিন্ন সংগঠন।
আইওএম-এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি দ্যা হাফিংটন পোস্টকে বলেন, ‘সংস্থাটি বাংলাদেশ থেকে মানব পাচার ঠেকাতে সরকারের সঙ্গে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। যেমন, আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের জন্য এ বিষয়ে যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, তৃণমূল পর্যায়ে মানবপাচারের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা গড়ে তোলা, বেকার যুবকদের দক্ষতা উন্নয়নে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও প্রয়োগমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন। ’
হাফিংটন পোস্টকে আইওএম-এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি আরও বলেন, ‘মানবপাচার রোধে সর্বোপরি, বাংলাদেশ সরকারকে গভীরভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ এবং দ্রুত এর বাস্তবায়ন করতে হবে।’
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন Blogger Facebook