রিপোর্টার্স বিডি ডট কম : বালাগঞ্জে প্রেমিকাকে অপহরণ করে নির্যাতনের ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের ১ মাস পেরিয়ে গেলেও অভিযুক্তরে এখনো আটক করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে, উপর থেকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য অভিযুক্তদের হুমকীতে আতংকে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে বাদী ও তাঁর পরিবার।জানা যায়, উপজেলার নওশিরপুর গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারের একটি মেয়ে(২০)কে দীর্ঘদিন উত্ত্যক্ত করে আসছিলো একই গ্রামের তইমুছ আলীর পুত্র সাদ্দাম হোসেন (২৫)। মেয়েটিকে ভয় দেখিয়ে এক পর্যায়ে সাদ্দাম প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলতে সক্ষম হয়।এ বিষয়টি নিয়ে গ্রামে একাধিকবার সালিশ বৈঠক হয়। সেখানে এলাকাবাসী মেয়েটিকে বিয়ে করে ঘরে তুলতে সাদ্দামের পরিবারকে চাঁপ দেন। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সাদ্দাম হোসেন বিয়ের ব্যাপার চুড়ান্ত করার কথা বলে প্রেমিকাকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। বাড়িতে নিয়ে জোর পূর্বক মেয়েটিকে আটকে রেখে সাদ্দাম ও তার ভাই চেরাগ আলী দৈহিক নির্যাতন চালায়। এদিকে মেয়ে নিখোঁজের ঘটনায় মেয়ের বাবা থানা পুলিশের স্মরণাপন্ন হলেও থানা পুলিশ কোন ভূমিকা নেয়নি। ৩দিন আটক থাকার পর বিষয়টি সালিশে নিস্পত্তির কথা বলে একই গ্রামের নুর মিয়া, রফাত উল্যা গংরা নির্যাতিত মেয়েটিকে জোরপূর্বক তার মায়ের কাছে সমঝে দেয় এবং কিছুদিনে মধ্যে নির্যাতনের ক্ষতিপূরণ বাবত চেরাগ আলীর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা আদায় করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। যা দিয়ে নির্যাতিত মেয়ের অন্যত্র বিয়ের ব্যবস্থা করা হবে।কিন্তু নির্যাতিত প্রেমিকা বিষয়টি সহজে মেনে নিতে রাজি না হয়ে গত ৩ মার্চ নওশিরপুর গ্রামের সাদ্দাম হোসেন, চেরাগ আলী, রফাত উল্যা, নুর মিয়া ও বাবলা মিয়ার নাম উলেখ করে বালাগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। প্রথমে থানা পুলিশ মামলা গ্রহণে টালবাহান শুরু করলে পরে এলাকাবাসীর চাঁপে প্রায় ২মাস পর গত ১৩ মে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ আইনে মামলাটি গ্রহণ করে। মামলা নং ৮। কিন্তু থানায় মামলা রুজ্জু হওয়ার একমাস পেরিয়ে গেলেও রহস্যজনক কারণে আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ কোন ভূমিকাই নেয়নি। অভিযোগ রয়েছে, থানা পুলিশ বড় অংকের টাকা নিয়ে আসামীদের নিরাপত্তা দিচ্ছে। অন্যদিকে চার্জশীটে অভিযুক্ত নুর মিয়া, রফাত মিয়া ও বাবলা মিয়াকে বাদ দিয়ে আদালতে চার্জশীট প্রদানের পায়তারা করে আসছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।এ ব্যাপারে নির্যাতিতার মা বলেন, আমার পিতৃহারা মেয়েকে নিয়ে তারা যা করেছে তা ধর্ম সইবে না। থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ মামলা নিতে ২মাস সময় নিয়ে নির্যাতনের অনেক আলামত নষ্ট করে দেয়। অবশেষে মামলা নিলেও রহস্যজনক কারণে আসামীদের গ্রেফতার করছে না। অন্যদিকে মামলা উঠিয়ে নেওয়ার হুমকীতে আমরা প্রায় গৃহবন্দি অবস্থায় রয়েছি। বিষয়টি একাধিকবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে অবগত করলেও তিনি তাতে কর্নপাত করছেন না।এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বালাগঞ্জ থানার এস আই অরুপ কুমার চৌধুরী বলেন, আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বাদিকে আসামী কর্তৃক হুমকি অভিযোগ পেয়েও আসামীদের বাড়িতে একাধিকবার অভিযান চালিয়েছি কিন্তু আসামীরা পলাতক থাকায় তাদের গ্রেফতার করা যাচ্ছে না।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন Blogger Facebook